ওয়ালটনের সাম্প্রতিক রিলিজ হওয়া ওয়ালটন প্রিমো এইচএম ফোর রিলিজ হওয়ার পর থেকেই এই ফোনে কেনার প্রতি অনেকের আগ্রহ দেখলাম। নিচে তার একাংশ ইউজারদের রিভিউ এর একটা স্ক্রিনশট দিলাম। আগে আপনারা তাদের আবেগ ভর্তি রিভিউগুলি দেখে নিন।
শুরুতেই ওয়ালটন প্রিমো এইচএম ৪ এর ফিচারগুলো দেখে নেই।
ফোনটির ফ্রন্ট এবং রেয়ার ক্যামেরা দুটিই ৮ মেগাপিক্সেল। আর সেইসাথে BSI সেন্সর থাকছে দুটি ক্যামেরাতেই। ফ্রন্ট ক্যামেরাতে এলইডি ফ্ল্যাশ ব্যাবহার করা হয়েছে। যা সেলফিবাজদের জন্য অনেক কাজে দিবে। ক্যামেরার কালার, কন্ট্রাস্ট সব ঠিক থাকলেও ছবি তুলার সময় শক্তহাতে ছবি তুলতে হয়। কারন ক্যামেরার ইন্টারফেসটা অনেকটাই নড়বড়ে। দিনের আলোতে ভালোই ছবি তুলা যায় এই ক্যামেরা দিয়ে। আর অন্ধকারে যদিও খুব একটা ভালো পারফরমেন্স পাওয়া যায়না। তবে সেলফি তুলার জন্য ফোনটি অনেক ভালো। আর অটো ফোকাস, ম্যানুয়াল ফোকাস সহ HD Video Recording তো থাকছেই। তবে এই দামের ফোন অনুযায়ী ক্যামেরা কোয়ালিটি যথেষ্ঠ ভালো।
ফোনটিতে ১.৩ গিগাহার্টজ কোয়াড-কোর প্রসেসর ও জিপিইউ মালি- ৪০০ ব্যবহৃত হলেও ফোনটির পারফরমেন্স অনেক বাজে ছিল। অ্যাপস্ ওপেনিং এবং ক্লোজিং টাইম অনেক বেশি ছিল। এর কারন এর চিপসেট। ফোনটির চিপটেপ আরও আপডেট হওয়া উচিত ছিল। তাই, আমাদের দেইলি টাস্কগুলো একটু ধৈর্য্যের সাথে করতে হবে। হাই রেজুলেশনের গেমসে একটু ল্যাগিং থাকবেই। তাই লো এবং মিড রেজুলেশনের গেমস খেলতে হবে। এইচএম সিরিজে নতুন যুক্ত হয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। এইজন্যে অবশ্যই আগেই ওয়ালটনে বাহবা দিয়েছি। সেন্সরের রেসপন্স টাইম একটু স্লো ছিল, তবে তা একুরেট ছিল।
ফোনটির অ্যান্ড্রয়েড ভার্শন নগাট ৭.০ আর ব্যবহার করা হয়েছে Stock UI . স্টক ইউ.আই হওয়া সত্বেও এর হার্ডওয়্যার নিম্নমানের হওয়ার কারনে ফোনটিতে কিছুটা ল্যাগ দেখা যায়। তাই, প্রয়োজনের চেয়ে বেশি অ্যাপস্ ইনস্টল করার চিন্তাও করবেন না। আর পারলে লাইট ভার্শন এপস্গুলো ইউজ করবেন। ফিচার সিস্টেম আপডেট করার জন্য থাকছে ওটিআই আপডেট সিস্টেম। যার মাধ্যমে সহজেই সফটওয়্যার করতে পারবেন।
এতো সুন্দর সুন্দর পজিটিভ রিভিউ দেখলে যে কারোরই এই ফোন কিনতে মন চাইবে। তবে, আমার মনে হয়না ওয়ালটন এই ফোন তরুন-তরুনীদের কথা ভেবে তৈরি করেছে। কারন একমাত্র বাবা-চাচারাই এই ফোন ব্যবহার করে বিরক্ত হবেনা। তাই কেনার আগে অবশ্যই নিজের দায়িত্বে কিনবেন।
শুরুতেই ওয়ালটন প্রিমো এইচএম ৪ এর ফিচারগুলো দেখে নেই।
ব্র্যান্ড | ওয়ালটন |
মডেল | প্রিমো এইচ এম ৪ (Primo HM4) |
মূল্য | ৭৮৯০৳ |
ডিভাইসের ধরণ | এন্ড্রয়েড স্মার্টফোন |
সি.পি.ইউ | ১.৩ গিগাহার্টজ কোয়াড-কোর প্রসেসর |
জি.পিই.উ | মালি-৪০০ |
ক্যামেরা | প্রাইমারীঃ ৮ মেগাপিক্সেল + ফ্ল্যাশ, বি.এস.আই সেন্সর, ফেস ডিটেকশন, অটো ফোকাস, ম্যানুয়াল ফোকাস, টাচ ফোকাস, সেলফ টাইমার, ডিজিটাল জুম, কন্টিনিউয়াস ফোকাস, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ক্যাপচার, HD ভিডিও রেকর্ডিং (১০৮০*১৯২০)। সেকেন্ডারীঃ ৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা + ফ্রন্ট এলইডি ফ্ল্যাশ, বি.এস.আই সেন্সর, ফেস ডিটেকশন, অটো ফোকাস, সেলফ টাইমার, ডিজিটাল জুম, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ক্যাপচার |
মেমোরি | ১ জিবি র্যাম DDR3, ৮ জিবি রম, ৬৪ জিবি পর্যন্ত এক্সটার্নাল মেমোরী সাপোর্টেড |
ডিসপ্লে | ৫.৫ ইঞ্চি এইচডি আইপিএস, ২.৫ডি কার্ভড গ্লাস |
ব্যাটারী | ৩৮০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার লি-পলিমার ব্যাটারী |
সিম | ২ টি, ন্যানো স্লট |
সেন্সর | মোশন সেন্সর, এনভাইরনমেন্ট সেন্সর, পজিশন সেন্সর, ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর |
কালার | পিউর ব্ল্যাক, গোল্ডেন |
অপারেটিং সিস্টেম | এনড্রয়েড ৭.০ নগাট |
ইন্টারফেস | ৩ ইন ১ স্লট (সীম+মেমোরি কার্ড), মাইক্রো ইউএসবি পোর্ট 2.0, অডিও আউটপুট, পাওয়ার বাটন, ভলিউম বাটন, মাইক্রোফোন, স্পিকার |
আরও ফিচারস | ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার, মিরা ভিশন ডিসপ্লে টেকনোলোজি, ব্যাটারি সেভার, ডুরা স্পিড, মাল্টি উইনডো, ওটিজি সাপোর্ট, নটিফিকেশন লাইট, ৩ ইন ১ স্লট (সীম+মেমোরি কার্ড) |
ভালো-মন্দ দিকসমূহ
ভালো দিক | মন্দ দিক |
➼ এই দামে এত্তো ফিচার সত্যিই প্রশংসনীয়। | ➼ দাম যেখানে এতো কম, বুঝতে পারছেন কিছু সমস্যাতো থাকবেই। |
➼ ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর আছে। | ➼ ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর স্লো কাজ করে। |
➼ ডিসপ্লে কোয়ালিটি অনেক ভালো। | ➼ Stock UI তে কিছুটা ল্যাগিং আছে। |
➼ ফোনটির মেটাল বডি হওয়ায় ডিজাইন নিয়ে কেউ নাক চুলকাতে পারবেনা। | ➼ র্যাম পারফরমেন্স ভালোনা। যার ফলে মোবাইল অনেক স্লো কাজ করে। যা সত্যিই অনেকটাই বিরক্তিকর। |
➼ ওটিজি, মাল্টি উইনডো সুবিধা পাবেন। |
ব্যাটারি পারফরমেন্স
ওয়ালটনের এইচএম সিরিজের ফোনের স্পেশাল ফিচার হলো এর ব্যাটারি। তাই শুরুতেই ব্যাটারি নিয়েই বলি। ৩৮০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারির এই ফোন দিয়ে অনেকেই অনায়াসেই একদিন পার করে দিতে পারবেন। তবে, যারা একটু পরপর ফেসবুকের নোটিফিকেশন চেক করতে না পারলে পেটের ভাত হজম হয়না তারাও ৬ ঘন্টার মত ব্যাকআপ পেয়ে যাবেন। যা এই বাজেটের ফোনের জন্য অনেক যথেষ্ঠ বলে আমি মনে করি।ডিজাইন ও ডিসপ্লে
আট হাজার টাকার নিচে যেই ফোনই বাজারে আসে সেগুলোর ডিজাইন নিয়ে খুব একটা বেশিকিছু আশা করা যায়না। তবে, এক্ষেত্রে HM4 সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে। কারন ফোনটিতে ব্যবহৃত হয়েছে মেটাল বডি। মেটাল বডি হওয়ার কারনে এটির ডিজাইন নিয়ে খুব কম লোকেই প্রশ্ন তুলতে পারবেন। অপরদিকে ৫.৫ ইঞ্চি এইচডি আইপিএস ডিসপ্লে ও ২.৫ডি কার্ভড গ্লাস সেটটিকে অনেক আকর্ষনীয় করে তুলেছে। আর বুঝতেই পারছেন সেটটির সাইজ অনেক বড়। ফোনটির পেছনের দিকে রয়েছে রেয়ার ক্যামেরা, ফ্ল্যাশ লাইট ও তার নিছে রয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। আর সামনের দিকে রয়েছে ফ্রন্ট ক্যামেরা, ফ্রন্ট ফ্ল্যাশ। নিচের দিকে রয়েছে স্পিকার, আর উপরের দিকে রয়েছে ইউএসবি পোর্ট, ৩.৫ মি.মি হেডফোন জ্যাক। ডিসপ্লের সাইজ অনুযায়ী রেজুলেশন কম হওয়ায় শার্পনেস কিছুটা কম ছিল। তবে ডিসপ্লে কোয়ালিটি অনেক ভালো এবং কালার একুরেট পাওয়া যায়। আউটডোর এরিয়াতেও এর ডিসপ্লে অনেক ব্রাইট হওয়ার কারনে অনেক সহজেই ব্যবহার করতে পারবেন। আর আইপিএস ডিসপ্লে হওয়ার কারনে কোন নেগেটিভ পাবেননা। আর সেইসাথে কালার টিউনের জন্য মিরাভিশন রয়েছে। অভারঅল দাম হিসেবে এর ডিসপ্লে নিয়ে কারও অভিযোগ করার থকবে বলে মনে হয় না।ক্যামেরা
ফোনটির ফ্রন্ট এবং রেয়ার ক্যামেরা দুটিই ৮ মেগাপিক্সেল। আর সেইসাথে BSI সেন্সর থাকছে দুটি ক্যামেরাতেই। ফ্রন্ট ক্যামেরাতে এলইডি ফ্ল্যাশ ব্যাবহার করা হয়েছে। যা সেলফিবাজদের জন্য অনেক কাজে দিবে। ক্যামেরার কালার, কন্ট্রাস্ট সব ঠিক থাকলেও ছবি তুলার সময় শক্তহাতে ছবি তুলতে হয়। কারন ক্যামেরার ইন্টারফেসটা অনেকটাই নড়বড়ে। দিনের আলোতে ভালোই ছবি তুলা যায় এই ক্যামেরা দিয়ে। আর অন্ধকারে যদিও খুব একটা ভালো পারফরমেন্স পাওয়া যায়না। তবে সেলফি তুলার জন্য ফোনটি অনেক ভালো। আর অটো ফোকাস, ম্যানুয়াল ফোকাস সহ HD Video Recording তো থাকছেই। তবে এই দামের ফোন অনুযায়ী ক্যামেরা কোয়ালিটি যথেষ্ঠ ভালো।
হার্ডওয়্যার
ফোনটিতে ১.৩ গিগাহার্টজ কোয়াড-কোর প্রসেসর ও জিপিইউ মালি- ৪০০ ব্যবহৃত হলেও ফোনটির পারফরমেন্স অনেক বাজে ছিল। অ্যাপস্ ওপেনিং এবং ক্লোজিং টাইম অনেক বেশি ছিল। এর কারন এর চিপসেট। ফোনটির চিপটেপ আরও আপডেট হওয়া উচিত ছিল। তাই, আমাদের দেইলি টাস্কগুলো একটু ধৈর্য্যের সাথে করতে হবে। হাই রেজুলেশনের গেমসে একটু ল্যাগিং থাকবেই। তাই লো এবং মিড রেজুলেশনের গেমস খেলতে হবে। এইচএম সিরিজে নতুন যুক্ত হয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। এইজন্যে অবশ্যই আগেই ওয়ালটনে বাহবা দিয়েছি। সেন্সরের রেসপন্স টাইম একটু স্লো ছিল, তবে তা একুরেট ছিল।
সফটওয়্যার
ফোনটির অ্যান্ড্রয়েড ভার্শন নগাট ৭.০ আর ব্যবহার করা হয়েছে Stock UI . স্টক ইউ.আই হওয়া সত্বেও এর হার্ডওয়্যার নিম্নমানের হওয়ার কারনে ফোনটিতে কিছুটা ল্যাগ দেখা যায়। তাই, প্রয়োজনের চেয়ে বেশি অ্যাপস্ ইনস্টল করার চিন্তাও করবেন না। আর পারলে লাইট ভার্শন এপস্গুলো ইউজ করবেন। ফিচার সিস্টেম আপডেট করার জন্য থাকছে ওটিআই আপডেট সিস্টেম। যার মাধ্যমে সহজেই সফটওয়্যার করতে পারবেন।
প্রিমো এইচ এম ফোর ( Primo HM4) রেটিং
অভারঅল রেটিং ৮
| |
ডিজাইন | ৯ |
ফিচার | ৮ |
ব্যাটারি | ৮ |
ক্যামেরা | ৮ |
পারফরমেন্স | ৭ |
0 Comments